Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

সম্পাদকীয়: সেনাপ্রধানের বিপজ্জনক সীমালঙ্ঘন – সংবিধান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মানের প্রতি হুমকি

  সম্পাদকীয়: সেনাপ্রধানের বিপজ্জনক সীমালঙ্ঘন – সংবিধান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মানের প্রতি হুমকি

সম্পাদকীয়: সেনাপ্রধানের বিপজ্জনক সীমালঙ্ঘন – সংবিধান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মানের প্রতি হুমকি



🔴 সংবিধান লঙ্ঘন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করে সেনাবাহিনীর সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষতার নীতিমালা সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন। একজন সেনাপ্রধানের কোন আইনি অধিকার নেই নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার। ⚖️ সেনা আইন লঙ্ঘন বাংলাদেশ সেনা আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী, ৩৪ ও ৩৫ ধারায় নিষিদ্ধ: বিদ্রোহ উস্কে দেওয়া বা অসন্তোষ ছড়ানো সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ও সুনাম ক্ষুণ্ন করা জেনারেল ওয়াকারের কাজ বিদ্রোহমূলক আচরণ হিসেবে গণ্য হতে পারে, যার জন্য কোর্ট মার্শাল বা কারাদণ্ড হতে পারে। 🛡️ সামরিক অবকাঠামোর অপব্যবহার জেনারেল ওয়াকার আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ অর্থপাচারকারী ও রাজনীতিকদের ক্যান্টনমেন্টে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত। তাদের ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে পালাতে সহায়তা করা হয়েছে, যা রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। 🧩 বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আঁতাত জেনারেল ওয়াকার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, ভারতীয় সেনাপ্রধান এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। গোয়েন্দা সূত্রগুলো এ বিষয়ে রেকর্ড করা প্রমাণ থাকার কথা নিশ্চিত করেছে — যা বিদেশি হস্তক্ষেপ ও রাষ্ট্রদ্রোহের পরিষ্কার ইঙ্গিত। 🇧🇩 সেনাবাহিনীর ভিতরে কোনও সমর্থন নেই মাঝমাঠের অফিসার এবং জুনিয়র র‍্যাঙ্কের সৈনিকদের মধ্যে ওয়াকারের রাজনৈতিক অবস্থানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। সেনাবাহিনীর মূলধারা এখনো সংবিধান ও রাষ্ট্রের পক্ষে, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বিদেশি এজেন্ডার পক্ষে নয়। 🕊️ ড. ইউনূসকে লক্ষ্যবস্তু করা: একটি কৌশলগত ভুল ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিরোধিতা করে ওয়াকার আন্তর্জাতিক মহলে নিজেকে আরও বিচ্ছিন্ন করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন স্পষ্ট জানিয়েছে — যদি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক রূপান্তর বাধা দেয়, তারা আইনি ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেবে। 🧨 একনায়কতন্ত্র পুনর্বাসনের চেষ্টা আওয়ামী লীগ ও ভারতপন্থী গোষ্ঠীকে সেনা হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আনার চেষ্টা গণঅভ্যুত্থান ডেকে আনতে পারে। এ জাতীয় প্রচেষ্টা সেনাবাহিনীকে জনগণের শত্রুতে পরিণত করবে, এবং এর ভাবমূর্তি চিরতরে নষ্ট হবে। 🌐 কোনও আশ্রয় থাকবে না যদি জেনারেল ওয়াকার সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপে এগিয়ে যান: ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ ও আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে পশ্চিমা বিশ্ব এবং চীন কেউই তাকে রক্ষা করবে না ✅ উপসংহার জেনারেল ওয়াকারকে অবিলম্বে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে সংবিধান মেনে চলতে হবে। তা না হলে তাকে সম্মানহানিকরভাবে: কোর্ট মার্শাল, আন্তর্জাতিক বিচারের মুখোমুখি ও সেনাবাহিনীর অপমানের ভার বহন করতে হবে। ইতিহাস তাকে জনগণের নয়, একজন রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে স্মরণ রাখবে।

Post a Comment

0 Comments